Saturday, September 14, 2013

মায়ের কাছে প্রীতিলতার শেষ পত্র

মাগো,

তুমি আমায় ডাকছিলে? আমার যেন মনে হলো তুমি আমার শিয়রে বসে কেবলি আমার নাম ধরে ডাকছো, আর তোমার অশ্রু-জলে আমার বক্ষ ভেসে যাচ্ছে। মা, সত্যিই কি তুমি এত কাঁদছো? আমি তোমার ডাকে সাড়া দিতে পারলাম না—তুমি আমায় ডেকে ডেকে হয়্ররান হয়ে চলে গেলে।

স্বপ্নে একবার তোমায় দেখতে চেয়েছিলাম—তুমি তোমার আদরের মেয়ের আবদার রক্ষা করতে এসেছিলে! কিন্তু মা, আমি তোমার সঙ্গে একটি কথাও বললাম না। দুচোখ মেলে কেবল তোমার অশ্রুজলই দেখলাম। তোমার চোখের জল মোছাতে এতটুকু চেষ্টা করলাম না।

মা, আমায় তুমি ক্ষমা করো—তোমায় বড় ব্যথা দিয়ে গেলাম। তোমাকে এতটুকু ব্যথা দিতেও তো চিরদিন আমার বুকে বেজেছে। তোমাকে দুঃখ দেওয়া আমার ইচ্ছা নয়। আমি স্বদেশ-জননীর চোখের জল মোছাবার জন্য বুকের রক্ত দিতে এসেছি। তুমি আমায় আশীর্বাদ কর, নইলে আমার মনোবাঞ্ছা পুর্ণ হবে না।

একটিবার তোমায় দেখে যেতে পারলাম না! সেজন্য আমার হৃদয়কে ভুল বুঝোনা তুমি। তোমার কথা আমি এক মুহুর্তের জন্যও ভুলিনি মা। প্রতিনিয়তই তোমার আশির্বাদ প্রার্থনা করি।

আমার অভাব যে তোমাকে পাগল করে তুলেছে, তা আমি জানি। মাগো, আমি শুনেছি, তুমি ঘরের দরজায় বসে সবাইকে ডেকে ডেকে বলছো—“ওগো তোমরা আমার রাণীশূন্য রাজ্য দেখে যাও”।

তোমার সেই ছবি আমার চোখের ওপর দিনরাত ভাসছে। তোমার এই কথাগুলো আমার হৃদয়ের প্রতি তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে কান্নার সুর তোলে।

মাগো, তুমি অমন করে কেঁদোনা! আমি যে সত্যের জন্য-স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিতে এসেছি, তুমি কি তাতে আনন্দ পাও না?

কি করবে মা? দেশ যে পরাধীন! দেশবাসী যে বিদেশীর অত্যাচারে জর্জরিত! দেশমাতৃকা যে শৃঙ্খলভারে অবনতা, লাঞ্ছিতা, অবমানিতা!

তুমি কি সবই নীরবে সহ্য করবে মা? একটি সন্তানকেও কি তুমি মুক্তির জন্য উৎসর্গ করতে পারবে না? তুমি কি কেবলই কাঁদবে?

আর কেঁদোনা মা। যাবার আগে আর একবার তুমি আমায় স্বপ্নে দেখা দিও। আমি তোমার কাছে জানু পেতে ক্ষমা চাইবো।

আমি যে তোমায় বড় ব্যথা দিয়ে এসেছি মা। ইচ্ছা করে ছুটে গিয়ে তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে আসি। তুমি আদর করে আমাকে বুকে টেনে নিতে চাইছো, আমি তোমার হাত ছিনিয়ে চলে এসেছি। খাবারের থালা নিয়ে আমায় কত সাধাসাধিই না করেছো—আমি পিছন ফিরে চলে গেছি।

না, আর পারছি না। ক্ষমা চাওয়া ভিন্ন আর আমাত উপায় নেই। আমি তোমাকে দুদিন ধরে সমানে কাঁদিয়েছি। তোমার ক্রন্দন আমাকে এতটুকু টলাতে পারেনি।

কি আশ্চর্য মা! তোমার রাণী এত নিষ্ঠুর হতে পারলো কি করে? ক্ষমা করো মা; আমায় তুমি ক্ষমা করো!


(আত্মাহুতির আগের রাতে প্রীতিলতা মায়ের উদ্দেশে এই চিঠিটি লিখেছিলেন। তাঁর মৃত্যুবরণের পর মাষ্টারদা এই পত্রটি প্রীতিলতার মায়ের হাতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।)

আপনাদের জন্য অংকের একটি বিশেষ ধাধা দিলাম, কেহ উত্তর পারেন কিনা চেষ্টা করে দেখতে পারেন....

“এক গোয়ালার ত্রিপদ গাভী, সপ্তঘাটে পিয়ে পানি, নববৃক্ষতলে বন্ধন করে, ষোল গোয়ালায় দোহন করে- বলতো ঐ গোয়ালার মোট কতটি গাভী?”

ধাঁধাঁ যে মিলাতে পারবে সে হবে রাজা

১।
কালিদাস পণ্ডিতে কয় বাল্যকালের কথা,
নয় হাজার তেঁতুল গাছে কয় হাজার পাতা।
২।
শুইতে গেলে দিতে হয়, না দিলে ক্ষতি হয়,
কালিদাস পন্ডিত কয় যাহা বুঝেছ তাহা নয়।
৩।
চক থেকে এল সাহেব কোর্ট প্যান্ট পরে,
কোর্ট প্যান্ট খোলার পরে চোখ জ্বালা করে।
৪।
পোলা কালে বস্ত্রধারী যৌবনে উলঙ্গ,
বৃদ্বকালে জটাধারী মাঝখানে সুড়ঙ্গ।
৫।
বাঘের মত লাফ দেয়, কুকুর হয়ে বসে,
পানির মধ্যে ছেড়ে দিলে সোলা হয়ে ভাসে।
৬।
হাসিতে হাসিতে যায় নারী পর পুরুষের কাছে,
যাইবার সময় কান্নাকাটি ভিতরে গেলে হাসে।
৭।
আমি তুমি একজন দেখিতে এক রুপ,
আমি কত কথা কই তুমি কেন থাক চুপ।
৮।
কালিদাস পন্ডিতের ফাঁকি,
আড়াইশ থেকে পাঁচ পঞ্চাশ গেলে
আর কত থাকে বাকী।
৯।
শোন ভাই কালিদাসের হেয়ালীর ছন্দ,
দরজা আছে হাজারটা তবু কেন বন্ধ।
১০।
শুভ্রবাসান দেহ তার,
করে মানুষের অপকার।
চিতায় তারে পুড়িয়া মারে,
তবু সে উহ আহ না করে।

সূর্য সেনের শেষ চিঠি

আমার শেষ বাণী-আদর্শ ও একতা। ফাঁসির রজ্জু আমার মাথার উপর ঝুলছে। মৃত্যু আমার দরজায় করাঘাত করছে। মন আমার অসীমের পানে ছুটে চলছে। এই ত’ সাধনার সময়। বন্ধুরূপে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার এই ত সময়। ফেলে আসা দিনগুলোকেও স্মরণ করার এই ত সময়।

কত মধুর তোমাদের সকলের স্মৃতি। তোমরা আমার ভাইবোনেরা, তোমাদের মধুর স্মৃতি বৈচিএ্যহীন আমার এই জীবনের একঘেঁয়েমিকে ভেঙ্গে দেয়। উৎসাহ দেয় আমাকে। এই সুন্দর পরম মুহুর্তে আমি তোমাদের জন্য দিয়ে গেলাম স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন। আমার জীবনের এক শুভ মুহুর্তে এই স্বপ্ন আমাকে অনুপ্রাণিত করছিল। জীবনভর উৎসাহ ভরে ও অক্লান্তভাবে পাগলের মত সেই স্বপ্নের পিছনে আমি ছুটেছি। জানিনা কোথায় আজ আমাকে থেমে যেতে হচ্ছে। লক্ষে পৌছানোর আগে মৃত্যুর হিমশীতল হাত আমার মত তোমাদের স্পর্শ করলে তোমরাও তোমাদের অনুগামীদের হাতে এই ভার তুলে দেবে, আজ যেমন আমি তোমাদের হাতে তুলে দিয়ে যাচ্ছি। আমার বন্ধু্রা- এগিয়ে চল। এগিয়ে চল- কখনো পিছিয়ে যেও না। পরাধীনতার অন্ধকার দূরে সরে যাচ্ছে। ঐ দেখা যাচ্ছে স্বাধীনতার নবারুন। কখনো হতাশ হয়ো না। সাফল্য আমাদের হবেই। ভগবান তোমাদের আশির্বাদ করুন।

১৯৩০ সালের ১৮ই এপ্রিল চট্টগ্রাম ইস্টার বিদ্রোহের কথা কোন দিনই ভুলে যেও না। জালালাবাদ, জুলধা, চন্দননগর ও ধলঘাটের সংগ্রামের কথা সব সময় মনে রেখো। ভারতের স্বাধীনতার বেদীমূলে যে সব দেশপ্রেমিক জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের নাম রক্তাক্ষরে অন্তরের অন্তরতম প্রদেশে লিখে রেখো।

আমাদের সংগঠনে বিভেদ না আসে- এই আমার একান্ত আবেদন। যারা কারাগারের ভিতরে ও বাইরে রয়েছে, তাদের সকলকে জানাই আমার আশির্বাদ। বিদায় নিলাম তোমাদের কাছ থেকে।

বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক

বন্দে মাতরম্‌।

হুমায়ূন আহমেদ স্যারের কিছু প্রিয় উক্তি....

পাখি উড়ে গেলেও পলক
ফেলে যায় আর মানুষ
চলে গেলে ফেলে রেখে যায়
স্মৃতি ।

--------- হুমায়ূন আহমেদ

ঈশ্বর যদি কাউকে মারতে চান তাহলে কি তার কোন আয়োজন করার প্রয়োজন আছে ? তাহলে মরতে কিসের ভয় , একবারই তো মরতে হবে ।
----------- হুমায়ূন আহমেদ

চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার ফিরে আসে...ঠিক তেমন মানুষ প্রিয় বা অপ্রিয় যেই হোক,একবার চলে গেলে আবার ফিরে আসে..
-------- হুমায়ূন আহমেদ

ভালবাসাবাসির ব্যাপারটা হাততালির মতো। দুটা হাত লাগে। এক হাতে তালি বাজে না। অর্থাৎ একজনের ভালবাসায় হয় না......

--------হুমায়ূন আহমেদ

হারিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসলে সে আর আগের মত থাকে না….. কেমন জানি অচেনা অজানা হয়ে যায় । সবই হয়তো ঠিক থাকে কিন্তু কি যেন নাই…… কি যেন নাই……
--------হুমায়ূন আহমেদ

আমার হারিয়ে ফেলার কেউ নেই । কাজেই খুঁজে পাওয়ারও কেউ নেই । আমি মাঝে মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলি , আবার খুঁজে পাই..
------হুমায়ূন আহমেদ

"যে স্বপ্ন দেখতে জানে ,সে তা পূর্ণও করতে পারে"
আমরা মনে হয় স্বপ্ন দেখাই ভুলে গেছি...আর যেটুকুই বা দেখি তা নিজেরাই বিশ্বাস করতে চাই না...তাই পূর্ণও করতে পারি না।
--------হুমায়ূন আহমেদ

নারীদেরকে সৃষ্টিকর্তা পূর্ণতা দিয়েই পাঠিয়েছেন । শুধু পূর্ণতাই না অতিরিক্ত দিয়ে দিয়েছেন। তাই তো আমরা ‘অপূর্ণ পুরুষ’ পূর্ণ হতে এই নারীদেরই প্রয়োজন হয়.
------হুমায়ূন আহমেদ

তুমি দশটি সত্য এর মাঝে একটি মিথ্যা মিশিয়ে দাও…সেই মিথ্যাটিও সত্য হয়ে যাবে…কিন্তু তুমি দশটি মিথ্যার মাঝে একটি সত্য মিশাও… সত্য সত্যই থেকে যাবে….সেটি আর মিথ্যা হবে না…সত্য আসলেই সুন্দর…
--------হুমায়ূন আহমেদ

নোংরা কথা শুনতে নিষিদ্ধ আনন্দ আছে, কথা যত নোংরা তত মজা।
-----------হুমায়ুন আহমেদ

যাদের জীবনে মজার অংশ কম …তারা অন্যের মজা দেখে আনন্দ পায় …দুধের স্বাদ ভাতের মাড়ে মেটানোর মত.
------------হুমায়ুন আহমেদ

এবং হুমায়ুন আহমেদ

১)মৃত্যুর সময় পাশে কেউ থাকবে না,এর চেয়ে ভয়াবহ বোধ হয় আর কিছুই নেই।শেষ বিদা্য় নেয়ার সময় অন্তত কোনো একজন মানুষকে বলে যাওয়া দরকার।নিঃসঙ্গ ঘর থেকে একা একা চলে যাওয়া যা্য় না,যাওয়া উচিত নয়।এটা হৃদ্য়হীন ব্যাপার।(দেবী।পৃ:৪৮)

২)মৃত্যু টের পাওয়া যায়।তার পদশব্দ ক্ষীন কিন্তু অত্যন্ত তীক্ষ্ণ।(তোমাকে।পৃ:৬৩)

৩)বেঁচে থাকার মতো আনন্দের আর কিছু নেই।(আগুনের পরশমনি।পৃ:৯৭)

৪)অসম্ভব ক্ষমতাবান লোকেরা প্রা্য় সময়ই নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যায়।(আকাশ জোড়া মেঘ। পৃ:২৭)

৫)আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাব এই জন্যেই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে।যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না।(মেঘ বলেছে যাব যাব।পৃ:১৫৮)

৬)মৃত মানুষদের জন্য আমরা অপেক্ষা করি না।আমাদের সমস্ত অপেক্ষা জীবিতদের জন্য।(অপেক্ষা।পৃ:১৪৬)

৭)যে বাড়িতে মানুষ মারা যায় সে বাড়িতে মৃত্যুর আট থেকে নয় ঘন্টা পর একটা শান্তি শন্তি ভাব চলে আসে।আত্মীয় স্বজনরা কান্নাকাটি করে চোখের পানির স্টক ফুরিয়ে ফেলে।চেষ্টা করেও তখন কান্না আসে না।তবে বাড়ির সবার মধ্যে দুঃখী দুঃখী ভাব থাকে।সবাই সচেতন ভাবেই হোক বা অচেতন ভাবেই হোক দেখানোর চেষ্টা করে মৃত্যুতে সেই সব চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছে।মূল দুঃখের চেয়ে অভিনয়ের দুঃখই প্রধান হয়ে দড়ায়।একমাত্র ব্যাতিক্রম সন্তানের মৃত্যুতে মায়ের দুঃখ।(হিমুর রুপালী রাত্রি।পৃ:১৮)

৮) বিবাহ এবং মৃত্যু-এই দুই বিশেষ দিনে লতা পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়।সামাজিক মেলা মেশা হয়।আন্তরিক আলাপ হ্য়।(একজন হিমু কয়েকটি ঝি ঝি পোকা।পৃ:৮১)

৯)আসল রহস্য পদার্থ বিদ্যা বা অংকে না-আসল রহস্য মানুষের মনে।আকাশ যেমন অন্তহীন মানুষের মনও তাই।পৃথিবীর বেশির ভাগ অংকবিদ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালোবাসতেন।আকাশের দিকে তাকালে জাগতিক সব কিছুই তুচ্ছ মনে হয়।We are so insignificant.আমাদের জন্ম মৃত্যু সবই অর্থহীন।(আমিই মিসির আলি।পৃ:৭৯)

১০)মৃত্যু হচ্ছে একটা শ্বাশত ব্যাপার।একে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।আমরা যে বে্ঁচে আছি এটাই একটা মিরাকল।(কবি।পৃ:১৯১)

১১)মানব জীবন অল্প দিনের।এই অল্প দিনেই যা দেখার দেখে নিতে হবে।মৃত্যুর পর দেখার কিছু নেই।দোযখে যে যাবে-সে আর দেখবে কি-তার জীবন যাবে আগুন দেখতে দেখতে।আর বেহেশতেও দেখার কিছু নাই।বেহেশতের সবই সুন্দর।যার সব সুন্দর তার সৌন্দর্য বোঝা যায় না।সুন্দর দেখতে হ্য় অসুন্দরের সংগে।(কালো যাদুকর।পৃ:৭৮)

১২)সব মৃত্যুই কষ্টের,সুখের মৃত্যু তো কিছু নেই।(কোথাও কেউ নেই।পৃ:৪০)

১৩)দুঃখ কষ্ট সংসারে থাকেই।দুঃখ কষ্ট নিয়েই বাঁচতে হয়।জন্ম নিলেই মৃত্যু লেখা হয়ে যায়।(কোথাও কেউ নেই।পৃ:৩৬)

১৪)শোকে দুঃখে মানুষের মাথা খারাপ হয়ে যায়।কবর দিয়ে দেয়ার পর নিকট আত্মীয় স্বজনরা সবসময় বলে-”ও মরে নাই”।(ছায়া সঙ্গী।পৃ:১৪)

১৫)ঘুম হচ্ছে দ্বিতীয় মৃত্যু।(পারাপার। পৃ:২২)

১৬)মানুষ হচ্ছে একমাত্র প্রানী,যে জানে একদিন তাকে মরতে হবে।কেননা অন্য কোন প্রানী মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেয় না,মানুষ নেয়।(একা একা।পৃ:১০)

১৭)মৃত্যু ভয় বুদ্ধিমত্তার লক্ষন।শুধু মাত্র নির্বোধদেরই মৃত্যু ভয় থাকে না।(নি।পৃ:২৫)

১৮)মৃত্যুতে খুব বেশি দুঃখিত হবার কিছু নেই।প্রতিটি জীবিত প্রানীকেই একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর মরতে হবে।তবে এ মৃত্যু মানে পুরোপুরি ধ্বংস নয়।মানুষের শরীরে অযুত,কোটি,নিযুত ফান্ডামেন্টাল পার্টিকেলস যেমন-ইলেকট্রন,প্রোটন,নিউট্রন-এদের কোন বিনাশ নেই।এরা থেকেই যাবে।ছড়িয়ে পড়বে সারা পৃথিবীতে।কাজেই মানুষের মৃত্যুতে খুব বেশি কষ্ট পাবার কিছু নেই।(নি।পৃ:১০)

১৯)অন্য ভুবনের দিকে যাত্রার আগে আগে সবাই প্রিয়জনদের দেখতে চায়।(আমার আপন আধার।পৃ:৭১)

২০)যে মানুষ মারা যাচ্ছে তার উপর কোন রাগ কোন ঘেন্না থাকা উচিত নয়।(নবনী।পৃ:১০৯)

কবি লেখকদের বিখ্যাত বানী

১। "প্রণমিয়া পাটনী কহিল জোর হাতে
আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে"
----- অন্নদামঙ্গল কাব্য(ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর)

২. "মানুষ মরে গেলে পচে যায় ,বেঁচে থাকলে বদলায়..."
--------রক্তাক্ত প্রান্তর,মুনির চৌধুরী

৩. ‘অভাগা যদ্যপি চায় সাগর শুকায়ে যায়’---------- মুকুন্দরাম।

৪. সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন/হউক দূর অকল্যাণ সফল অশোভন।'
----------------শেখ ফজলল করিম।

৫. "আমারে নিবা মাঝি লগে???..." পদ্মা নদীর মাঝি"
-মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

৬. ‘যে জন দিবসে মনের হরষে জালায় মোমের বাতি’
------(সদ্ভাব শতক)- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

৭. ‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল।”- মদনমোহন তর্কালঙ্কার

৮. ‘সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করনি।’-------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৯. ‘স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে’--- রঙ্গলাল মুখপাধ্যায়।

১০. মেয়ের সম্মান মেয়েদের কাছেই সব চেয়ে কম। তারা জানেও না যে, এইজন্যে মেয়েদের ভাগ্যে ঘরে ঘরে অপমানিত হওয়া এত সহজ। তারা আপনার আলো আপনি নিবিয়ে বসে আছে। তারপরে কেবলই মরছে ভয়ে,...ভাবনায়,...অযোগ্য লোকের হাতে...খাচ্ছে মার, আর মনে করছে সেইটে নীরবে সহ্য করাতেই স্ত্রীজন্মের সর্বোচ্চ চরিতার্থ।
........যোগাযোগ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১১. ‘চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে?”
-- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।

১১. ‘তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিব না কোলাহল করি সারা দিনমান কারো ধ্যান ভাঙিব না।’--- কাজী নজরুলর ইসলাম

১২.‘কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর; মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর।----- শেখ ফজলল করিম

১৩. ‘যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা, যুদ্ধ মানেই আমার প্রতি তোমার অবহেলা’---- নির্মলেন্দু গুন।

১৪. ‘আমার দেশের পথের ধুলা খাটি সোনার চাইতে খাঁটি’
----- সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।

১৫. ‘আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা।’---- শামসুর রাহমান।

১৬. ‘বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয়’---- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৭. ‘রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা’---- কাজী নজরুলর ইসলাম

১৮. ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাই না আর’------ জীবনানন্দ দাশ

১৯. ‘বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ’
------ যতীন্দ্রমোহন বাগচী

২০. ‘ক্ষুধার রাজ্য পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’
---- সুকান্ত ভট্টাচার্য।

২১. ‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন’----- ভারতচন্দ্র

২২. ‘‘প্রীতি ও প্রেমের পূন্য বাধনে যবে মিলি পরস্পরে, স্বর্গে আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে।”------শেখ ফজলল করিম

২৩. ‘‘জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরি যেন এই দেশে।”
--- সুফিয়া কামাল

২৪. “রানার ছুটেছে তাই ঝুমঝুম ঘন্টা রাজছে রাতে রানার চলেছে খবরের বোঝা হাতে”- সুকান্ত ভট্টাচার্য।”------- সুকান্ত ভট্টাচার্য।

২৫. ‘‘আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা ‘পরে তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।” ------ রজনীকান্ত সেন

২৬. ‘‘সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি লভিলে শুধু বঞ্চনা নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়”- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

২৭. ‘‘মহাজ্ঞানী মহাজন, যে পথে ক’রে গমন হয়েছেন প্রাতঃস্মরনীয়।”------হেমচন্দ্র​ বন্দ্যোপাধ্যায়

২৮. ‘‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।”------কামিনী রায়।

২৯. “মুক্ত করো ভয়/ আপনা মাঝে শক্তি ধরো নিজেরে করো জয়।/ সংকোচের বিহ্বলতা নিজের অপমান/সংকোচের কল্পনাতে হয়ো না ম্রিয়মাণ/দুর্বলেরে রক্ষা করো দুর্জনেরে হানো/নিজেরে দীন নিঃসহায় যেন কভু না জানো।”-------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩০. ‘‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয় হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে।”----- জীবনানন্দ দাশ।

৩১. ‘‘হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছে পৃথিবীর পথে সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীদের অন্ধকারে মালয় সাগরে”----- জীবনানন্দ দাশ।

৩২. ‘‘সব পাখি ঘরে আসে সব নদী ফুরায় এ জীবনের সব লেন দেন; থাকে শুধু অন্ধকার”---- জীবনানন্দ দাশ।

৩৩. ‘‘আমি যদি হতাম বনহংস বনহংসী হতে যদি তুমি”------ জীবনানন্দ দাশ।

৩৪.‘শোনা গেল লাশ কাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে; কাল রাতে ফাণ্ডুন রাতের চাঁদ মরিবার হলো তার সাধ”----- জীবনানন্দ দাশ।

৩৫. ‘‘সুরঞ্জনা, ঐখানে যেয়ো না তুমি বোলো নাকো কথা ওই যুবকের সাথে,”----- জীবনানন্দ দাশ।

৩৬. ‘‘হে সূর্য! শীতের সূর্য! হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত তোমার প্রতীক্ষায় আমরা থাকি,”----- সুকান্ত ভট্টাচার্য।

৩৭. ‘অবাক পৃথিবী অবাক করলে তুমি, জন্মেই দেখি ক্ষুদ্ধ স্বদেশ ভূমি।’ ------সুকান্ত ভট্টাচার্য।

৩৮. ‘হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশ কেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছাসে,”--- - সুকান্ত ভট্টাচার্য।

৩৯. ‘হে মহা জীবন, আর এ কাব্য নয়, এবার কঠিন, কঠোর গদ্য আনো’ -----সুকান্ত ভট্টাচার্য।

৪০. ‘‘কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখে নি” -------সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

৪১. ‘‘আজি হতে শত বর্ষে পরে কে তুমি পড়িছ, বসি আমার কবিতাটিখানি কৌতূহল ভরে,”------ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৪২. ‘‘আজি হ’তে শত বর্ষে আগে, কে কবি, স্মরণ তুমি করেছিলে আমাদের শত অনুরাগে’ – ----কাজী নজরুল ইসলাম

৪৩. ‘মহা নগরীতে এল বিবর্ন দিন, তারপর আলকাতরার মত রাত্রী’----- সমর সেন।

৪৪. ‘‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি, আমি আমার পূর্ব পুরুষের কথা বলছি” ----আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।

৪৫. ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোটো এ তরী, আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।’------ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৪৬.‘‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার সময় তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।”----- হেলাল হাফিজ।

৪৭. ‘জন্মেই কুঁকড়ে গেছি মাতৃজরায়ন থেকে নেমে, সোনালী পিচ্ছিল পেট আমাকে উগড়ে দিলো যেন’------ শহীদ কাদরী।

৪৮. ‘‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ, মাতৃজরায়ু থেকে নেমেই জেনেছি আমি”------- দাউদ হায়দার।

৪৯.‘মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা।’

------অতুল প্রসাদ সেন।

৫০.‘স্মৃতির মিনার ভেঙ্গেছে তোমার? ভয়কি কি বন্ধু, আমরা এখনো’ -----আলাউদ্দিন আল আজাদ।

৫১.‘‘আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই, আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি,”------- রুদ্র মোঃ শহীদুল্লাহ।

৫২.‘‘বহু দেশ দেখিয়াছি বহু নদ-নলে কিন্তু এ স্নেহের তৃঞ্চা মিটে কার জলে?”------ মধুসূদন দত্ত।

৫৩. ‘‘আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর, আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।”------ জসীম উদ্দিন।

৫৪.‘‘যে শিশু ভুমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে তার মুখে খবর পেলুমঃ সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,”------- সুকান্ত ভট্টাচার্য।

৫৫.‘‘আপনাদের সবার জন্য এই উদার আমন্ত্রন ছবির মতো এই দেশে একবার বেড়িয়ে যান।”------ আবু হেনা মোস্তাফা কামাল।

৫৬. ‘তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা সকিনা বিবির কপালে ভাঙলো, সিথির সিদুঁর মুছে গেল হরিদাসীর”------- শামসুর রাহমান।

৫৭.‘‘জনতার সংগ্রাম চলবেই, আমাদের সংগ্রাম চলবেই।” হতমানে অপমানে নয়, সুখ সম্মানে। ---------সিকান্দার আবু জাফর।

৫৮. ‘ওই দূর বনে সন্ধ্যা নামিছে ঘন আবীরের রাগে অমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে।”-------- জসীম উদ্দিন।

৫৯. ‘তাল সোনাপুরের তালেব মাস্টার আমি, আজ থেকে আরম্ভ করে চল্লিশ বছর দিবসযামী’ -------আশরাফ ছিদ্দিকী।

৬০. ‘সই, কেমনে ধরিব হিয়া আমার বধুয়া আন বাড়ি যায় আমার আঙিনা দিয়া।’----- চন্ডিদাস।

৬১. ‘রূপলাগি অখিঁ ঝুরে মন ভোর প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।’ --------চন্ডিদাস।

৬২. ‘‘কুহেলী ভেদিয়া জড়তা টুটিয়া এসেছে বসন্তরাজ”
----- সৈয়দ এমদাদ আলী।

৬৩. ‘‘হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন তা সবে, (অবোধ আমি) অবহেলা করি, পর ধন লোভে মত্ত করিনু ভ্রমন” মধুসূদন দত্ত।

৬৪.“মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ’ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৬৫.“এতই যদি দ্বিধা তবে জন্মেছিলে কেন?”– নির্মলেন্দু গুণ

৬৬. হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে, – জীবনান্দ দাশ

৬৭. “বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে” – রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ্

৬৮. "ঝিনুক নীরবে সহো,/ঝিনুক নীরবে সহো,/ঝিনুক নীরবে সহে যাও,
ভিতরে বিষের থলি/ মুখ বুঝে মুক্তা ফলাও।" ---- আবুল হাসান

৬৯."এইখানে সরোজিনী শুয়ে আছে, জানিনা সে এইখানে শুয়ে আছে কিনা"- জীবনানন্দ দাস

৭০. "পৃথিবীর সবকটা সাদা কবুতর/ ইহুদী মেয়েরা রেঁধে পাঠিয়েছে/
মার্কিন জাহাজে"---- আল মাহমুদ

৭১."তুমি যাবে ভাই? যাবে মোর সাথে,/ আমাদের ছোট গাঁয় ?
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায়/ উদাসী বনের বায় ?" ---- জসীমউদ্দীন

৭২. অপদার্থ মানুষকে অনুকরণ করে নিজের মনুষ্যত্বকে হীন কর না, শুধু অর্থ ও সম্পদের সামনে তোমার মাথা যেন নত না হয়।---মোহাম্মদ লুতফর রহমান

৭৩. সাহিত্য জাতির দর্পন স্বরূপ------প্রমথ চৌধুরী

৭৪.সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত------প্রমথ চৌধুরী

৭৫. শিক্ষার 'স্ট্যান্ডার্ড' মানে জ্ঞানের 'স্ট্যান্ডার্ড', মিডিয়ামের 'স্ট্যান্ডার্ড' নয়।------আবুল মনসুর আহমদ

৭৬.বিদেশি ভাষা শিখিব মাতৃভাষায় শিক্ষিত হইবার পর, আগে নয়।------আবুল মনসুর আহমদ

৭৮. ‘‘এ দুর্ভাগা দেশ হতে হে মঙ্গলময় /দূর করে দাও তুমি সর্ব তুচ্ছ ভয়-/ লোক ভয়, রাজভয়, মৃত্যু ভয় আর/দীনপ্রাণ দুর্বলের এ পাষাণভার।”-------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৭৯. রাজনীতিবিদদের কামড়াকামড়ির দায় রাজনীতির নয়,বরং বুর্জোয়া কাঠামোর নড়বড়ে গঠনই রাষ্ট্রের বারোটা বাজিয়ে দেয় । (সংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতু)---আখতারুজ্জামান ইলিয়াস

৮০. “বিপ্লব, অবিশ্যি, শান্ত ভাবেও হতে পারে- অনেকখানি সময় লাগিয়ে ছোট-মাঝারি কিস্তিতে; বহু শত বৎসর পরে যোগফলে মহাবিপ্লবের চেহারাটা অনুমান করা যাবে। বড় বিপ্লব দিয়েই শুরু হতে পারে- ততটা শান্ত ভাবে নয়- বেশি মানবীয় শক্তি খরচ করে নয়। যে সভ্যতা দর্শনের আঁধার-খননে আবছা হয়ে ছিল এতকাল, তাকে যুক্তির পথে চালিয়ে নিয়ে ক্রমেই আলোকিত করে তুলবার জন্যে- পৃথিবীর সকলেরই নিঃশ্রেয়সের জন্যে এই বিপ্লব। অনেকেই এই রকম কথা বলছে। কিন্তু বিপ্লব আসেনি এখনও।----- জীবনানন্দ দাশ।

৮১. "বিপ্লব স্পন্দিত বুকে, মনে হয় আমিই লেনিন"- সুকান্ত ভট্টাচার্য

৮২.সত্যি যেদিন পাখিকে খাঁচা থেকে ছেড়ে দিতে পারি/সেদিন বুঝতে পারি পাখিই আমাকে ছেড়ে দিলে।/যাকে আমি খাঁচায় বাঁধি সে আমাকে
আমার ইচ্ছেতে বাঁধে, সেই ইচ্ছের বাঁধন যে শিকলের বাঁধনের চেয়েও শক্ত। ......ঘরে বাইরে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮৩. "মাধবী হঠাৎ কোথা হতে এল ফাগুন দিনের স্রোতে,
এসে হেসেই বলে যাই যাই যাই।
-----মাধবী ফুল গাছ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮৪."তরবারি গ্রহণ করতে হয় উচ্চশিরে উদ্ধত হস্ত তুলে,
মালা গ্রহণ করতে হয় উচ্চশির অবনমিত করে,
উদ্ধত হস্ত যুক্ত করে ললাট ঠেকিয়ে।"
------কাজী নজরুল ইসলাম
৮৫.'বামন চিনি পৈতা প্রমাণ বামনী চিনি কিসে রে।' ---লালন
৮৬.যে খ্যাতির সম্বল অল্প তার সমারোহ যতই বেশি হয়, ততই তার দেউলে হওয়া দ্রুত ঘটে।
---------------------রবীন্দ্রন​াথ ঠাকুর
৮৭.বাহিরের স্বাধীনতা গিয়াছে বলিয়া অন্তরের স্বাধীনতাকেও আমরা যেন বিসর্জন না দিই।
-------------------কাজী নজরুল ইসলাম
৮৮. ......যেন হাঁক দিয়ে আসে
অপূর্ণের সংকীর্ণ খাদে
পূর্ণ স্রোতের ডাকাতি......
অঙ্গে অঙ্গে পাক দিয়ে ওঠে
কালবৈশাখীর-ঘূর্ণি-মার-খাওয়া অরণ্যের বকুনি।
-------------------রবীন্দ্রনাথ​ ঠাকুর
৮৯।"এই অসুন্দরের শ্রদ্ধা নিবেদনের শ্রাদ্ধ দিনে বন্ধু, তুমি যেন যেওনা"
...............কাজী নজরুল ইসলাম
৯০।'কী পাইনি তারই হিসাব মেলাতে মন মোর নহে রাজি'
-------------------রবীন্দ্রনাথ​ ঠাকুর
৯১। "প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস,
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।"
-------------------রবীন্দ্রনাথ​ ঠাকুর
৯২। 'কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি’
---মাহবুব উল আলম চৌধুরী
৯৩। এক সে পদ্ম তার চৌষট্টি পাখনা,------------চর্যাপদ

৯৪। বিশ্বপিতা স্ত্রী ও পুরুষের কেবল আকারগত কিঞ্চিত ভেদ সংস্থাপন করিয়াছেন মাত্র। মানসিক শক্তি বিষয়ে ন্যূনাধিক্য স্থাপন করেন নাই। অতএব বালকেরা যেরূপ শিখিতে পারে বালিকারা সেরূপ কেন না পারিবেক।----------------------​মদনমোহন তর্কালঙ্কার

৯৫। যে মরিতে জানে সুখের অধিকার তাহারই। যে জয় করে ভোগ করা তাহাকেই সাজে।
-------------------রবীন্দ্রনাথ​ ঠাকুর

৯৬।যে লোক পরের দুঃখকে কিছুই মনে করে না তাহার সুখের জন্য ভগবান ঘরের মধ্যে এত স্নেহের আয়োজন কেন রাখিবেন।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (দুর্বুদ্ধি)।

৯৭।সংসারে সাধু-অসাধুর মধ্যে প্রভেদ এই যে, সাধুরা কপট আর অসাধুরা অকপট।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (সমস্যাপূরণ)।

৯৮।হঠাৎ একদিন পূর্নিমার রাত্রে জীবনে যখন জোয়ার আসে, তখন যে একটা বৃহৎ প্রতিজ্ঞা করিয়া বসে জীবনের সুদীর্ঘ ভাটার সময় সে প্রতিজ্ঞা রক্ষা করিতে তাহার সমস্ত প্রাণে টান পড়ে।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (মধ্যবর্তিনী)।

৯৯।নারী দাসী বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে নারী রানীও বটে।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (মধ্যবর্তিনী)।

১০০।মনে যখন একটা প্রবল আনন্দ একটা বৃহৎ প্রেমের সঞ্চার হয় তখন মানুষ মনে করে, ‘আমি সব পারি’। তখন হঠাৎ আত্নবিসর্জনের ইচ্ছা বলবতী হইয়া ওঠে।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (মধ্যবর্তিনী)।

১০১।সংসারের কোন কাজেই যে হতভাগ্যের বুদ্ধি খেলে না, সে নিশ্চয়ই ভাল বই লিখিবে।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(সম্পাদক)।

১০২।যে ছেলে চাবামাত্রই পায়, চাবার পুর্বেই যার অভাব মোচন হতে থাকে; সে নিতান্ত দুর্ভাগা। ইচ্ছা দমন করতে না শিখে কেউ কোনকালে সুখী হতে পারেনা।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (কর্মফল)।

১০৩।সামনে একটা পাথর পড়লে যে লোক ঘুরে না গিয়ে সেটা ডিঙ্গিয়ে পথ সংক্ষেপ করতে চায়-বিলম্ব তারই অদৃষ্টে আছে।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (কর্মফল)।

১০৪।বিধাতা আমাদের বুদ্ধি দেননি কিন্তু স্ত্রী দিয়েছেন, আর তোমাদের বুদ্ধি দিয়েছেন; তেমনি সঙ্গে সঙ্গে নির্বোধ স্বামীগুলোকেও তোমাদের হাতে সমর্পন করেছেন।- আমাদেরই জিত।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (কর্মফল)।

১০৫।বিয়ে করলে মানুষকে মেনে নিতে হয়, তখন আর গড়ে নেবার ফাঁক পাওয়া যায় না।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(শেষের কবিতা)।

১০৬।লোকে ভুলে যায় দাম্পত্যটা একটা আর্ট, প্রতিদিন ওকে নতুন করে সৃষ্টি করা চাই।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(শেষের কবিতা)।

১০৭।পূর্ন প্রাণে যাবার যাহা
রিক্ত হাতে চাসনে তারে,
সিক্ত চোখে যাসনে দ্বারে।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (শেষের কবিতা)।

১০৮।সোহাগের সঙ্গে রাগ না মিশিলে ভালবাসার স্বাদ থাকেনা- তরকারীতে লঙ্কামরিচের মত।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (চোখের বালি)।

১০৯।সাধারনত স্ত্রীজাতি কাঁচা আম, ঝাল লন্কা এবং কড়া স্বামীই ভালোবাসে। যে দুর্ভাগ্য পুরুষ নিজের স্ত্রীর ভালোবাসা হইতে বঞ্চিত সে-যে কুশ্রী অথবা নির্ধন তাহা নহে; সে নিতান্ত নিরীহ।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (মনিহারা)।

১১০। যারে তুমি নিচে ফেল সে তোমাকে বাঁধিবে যে নিচে।
পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১১১।মনেরে আজ কহযে,
ভালমন্দ যাহাই আসুক, সত্যেরে লও সহজে।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (বোঝাপড়া-কবিতা)।

১১২।আশাকে ত্যাগ করলেও সে প্রগলভতা নারীর মত বারবার ফিরে আসে।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১১৩।দুঃখের বরষায় চক্ষের জল যেই নামল
বক্ষের দরজায় বন্ধুর রথ সেই থামল।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১১৪।"কত বড়ো আমি' কহে নকল হীরাটি।
তাই তো সন্দেহ করি নহ ঠিক খাঁটি॥ " - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Friday, September 13, 2013

How To Impress A Girl 10 Rules

Rule #1: Be confident, but not obnoxious. Women like confident men, but they don't usually appreciate men who gloat over money, looks, prowess, or material objects. If you have it, they can see it.

Rule #2: Have a sense of humor. Most women love men who can make them laugh; life is too short to be serious all the time.

Rule #3: Keep it clean. We are talking about hygiene here. While there are women who appreciate the grungy greasy look, most women like men who smell good and look clean. Don't overdo it on the cologne, though.

Rule #4: Ask questions, but not too many. It is important to establish respectful boundaries. You can ask them how they are feeling, or how their day went; steer clear of personal questions unless it is applicable to the situation.

Rule #5: Talk about your family, unless family is a touchy subject with you. If you have sisters, brothers, and your parents are still married, work them into the conversation. Knowing that you come from a stable family can be very impressive to some women. It makes them feel safe.

Rule #6: Do not speak badly of your ex-girlfriends. This tells more about you than it does about them. Few women find this attractive.

Rule #7: Keep your eyes on the face. Men who look at women like eye candy rarely impress girls.

Rule #8: Show interest in what she is saying, even if it is boring; never interrupt. One of the best ways to impress girls is to make them feel important. Paying attention to them usually does the trick.

Rule #9: Do not be overly emotional. It is important to be sensitive, but sensitive is not the same as emotional. Being caring and compassionate conveys an attractive sensitivity; crying at a girl movie on a first date does not impress girls.

Rule #10: Call the next day, not three days later. It does not impress girls to wonder if you are thinking about them; they want to know if you are thinking about them. Make a call just to say hello. Though it is usually best to keep it short and sweet, try to make the conversation natural. If she seems to want to talk longer, this is okay.

10 Ways to Instantly Build Self Confidence

1. Dress Sharp:
Although clothes don’t make the man, they certainly affect the way he feels about himself. No one is more conscious of your physical appearance than you are. When you don’t look good, it changes the way you carry yourself and interact with other people. Use this to your advantage by taking care of your personal appearance. In most cases, significant improvements can be made by bathing and shaving frequently, wearing clean clothes, and being cognizant of the latest styles.
This doesn’t mean you need to spend a lot on clothes. One great rule to follow is “spend twice as much, buy half as much”. Rather than buying a bunch of cheap clothes, buy half as many select, high quality items. In long run this decreases spending because expensive clothes wear out less easily and stay in style longer than cheap clothes. Buying less also helps reduce the clutter in your closet.

2. Walk Faster:
One of the easiest ways to tell how a person feels about herself is to examine her walk. Is it slow? tired? painful? Or is it energetic and purposeful? People with confidence walk quickly. They have places to go, people to see, and important work to do. Even if you aren’t in a hurry, you can increase your self confidence by putting some pep in your step. Walking 25% faster will make to you look and feel more important.

3. Good Posture:
Similarly, the way a person carries herself tells a story. People with slumped shoulders and lethargic movements display a lack of self confidence. They aren’t enthusiastic about what they’re doing and they don’t consider themselves important. By practicing good posture, you’ll automatically feel more confident. Stand up straight, keep your head up, and make eye contact. You’ll make a positive impression on others and instantly feel more alert and empowered.

4. Personal Commercial:
One of the best ways to build confidence is listening to a motivational speech. Unfortunately, opportunities to listen to a great speaker are few and far between. You can fill this need by creating a personal commercial. Write a 30-60 second speech that highlights your strengths and goals. Then recite it in front of the mirror aloud (or inside your head if you prefer) whenever you need a confidence boost.

5. Gratitude:
When you focus too much on what you want, the mind creates reasons why you can’t have it. This leads you to dwell on your weaknesses. The best way to avoid this is consciously focusing on gratitude. Set aside time each day to mentally list everything you have to be grateful for. Recall your past successes, unique skills, loving relationships, and positive momentum. You’ll be amazed how much you have going for you and motivated to take that next step towards success.

6. Compliment other people:
When we think negatively about ourselves, we often project that feeling on to others in the form of insults and gossip. To break this cycle of negativity, get in the habit of praising other people. Refuse to engage in backstabbing gossip and make an effort to compliment those around you. In the process, you’ll become well liked and build self confidence. By looking for the best in others, you indirectly bring out the best in yourself.

7. Sit in the front row:
In schools, offices, and public assemblies around the world, people constantly strive to sit at the back of the room. Most people prefer the back because they’re afraid of being noticed. This reflects a lack of self confidence. By deciding to sit in the front row, you can get over this irrational fear and build your self confidence. You’ll also be more visible to the important people talking from the front of the room.

8. Speak up:
During group discussions many people never speak up because they’re afraid that people will judge them for saying something stupid. This fear isn’t really justified. Generally, people are much more accepting than we imagine. In fact most people are dealing with the exact same fears. By making an effort to speak up at least once in every group discussion, you’ll become a better public speaker, more confident in your own thoughts, and recognized as a leader by your peers.

9. Work out:
Along the same lines as personal appearance, physical fitness has a huge effect on self confidence. If you’re out of shape, you’ll feel insecure, unattractive, and less energetic. By working out, you improve your physcial appearance, energize yourself, and accomplish something positive. Having the discipline to work out not only makes you feel better, it creates positive momentum that you can build on the rest of the day.

10. Focus on contribution:
Too often we get caught up in our own desires. We focus too much on ourselves and not enough on the needs of other people. If you stop thinking about yourself and concentrate on the contribution you’re making to the rest of the world, you won’t worry as much about you own flaws. This will increase self confidence and allow you to contribute with maximum efficiency. The more you contribute to the world the more you’ll be rewarded with personal success and recognition.

মন ভালো রাখার সহজ উপায়

বিজ্ঞানীরা বলেন, আমাদের বেশির ভাগ মনের আবেগ আসে মাথা থেকে। ফলে কাব্যজগতে বুকের অবস্থান দুর্বল হয়ে গেছে। আগে ভাবা হতো, বুকের মাঝে হ্নদয় ওরফে হার্ট, এ হার্ট ওরফে হৃদয় হতে আসে সব আবেগ। ফলে কারো প্রেম ভেঙে গেলে আমরা বলি বুক ভেঙে খান খান। তার সঙ্গে হ্নদয়খানও। তবে বুকের ব্যথা (প্রেমঘটিত নয়) মোটেও হেলাফেলার জিনিস নয়। সেখান থেকেই হয় হার্ট অ্যাটাক। যার মধ্য দিয়ে মানুষ তার জীবন হারিয়ে ফেলে। প্রেমিকদের কাছে হ্নদয়ের ব্যথা অনেক কাব্যিক কিন্তু বাস্তবে তা ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক। হ্নদয় ভেঙে গেলে মন ভেঙে যায়, তার বেচে কি লাভ। কিন্তু ডাক্তাররা এ রোমান্টিকতার ঘোর বিরোধী। বিশেষ করে হার্টের ডাক্তাররা। কারণ তাদের মতে, হ্নদয় যদি আক্রান্ত হয় মানে হার্ট অ্যাটাক হলে মানুষের বেচে থাকার সম্ভাবনা কঠিন এবং তাকে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। এ কারণে হার্টের ডাক্তাররা বলেন, কেউ যদি মনে কষ্ট পুষে রাখে এবং চিন্তায় পড়ে যান তাহলে তার হার্টের সমস্যা হতে পারে। এর জন্য অবশ্য উদ্বিগ্ন আর অহেতুক টেনশন দূর করার চিকিৎসা করা জরুরি। মানে মনকে ভালো রাখতে হবে আর কি।

অনেকের মতে, হ্নদরোগে কোলেস্টেরল কমাতে হবে এবং আরো ব্যায়াম করতে হবে। ফলে কিছু সমস্যার সমাধান হয় বটে কিন্তু এতে হার্টের ব্যথার পুরো চিত্রটি মেলে না। বেশি বেশি চিন্তার কারণেও হার্টের সমস্যা তৈরি হওয়া শুরু হতে থাকে। কাজেই হার্টের জন্য অন্তত চিন্তামুক্ত থাকার শুরু করুন। এর জন্য যোগব্যায়াম এবং রিলাক্সেশন শুরু করুন। এতে মন বলে বিজ্ঞানীদের কাছে যে জিনিসের অস্তিত্ব নেই তা ভালো থাকবে।
যদি আমরা সবাই জানি চিন্তাকে দূরে রাখতে বললেই চিন্তা চলে যায় না। চিন্তা আসে কোথা থেকে।

আমাদের চারপাশের নানা কর্মকা- এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চিন্তার উদ্ভব হয়। চিন্তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে নষ্ট করে। একদিকে চিন্তা থেকে মেন্টাল ডিসঅর্ডার বা মানসিক জটিলতা তৈরি হয় অন্যদিকে এর মধ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে বুকের ব্যথা। আমাদের দেশে হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা কম নয়। এদের বেশির ভাগই চিন্তাযুক্ত জীবন কাটায়।

চিন্তা থেকে যে ভয় তৈরি হয় তা মোটেও ভালো কিছু নয়। বিজ্ঞানীর চিন্তার মাধ্যমে উদ্বিগ্নতা তৈরি হওয়াকে অ্যাংজাইটি অ্যাটাক বলে মনে করেন।
এ ধরনের অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কয়েকটি টিপস। তবে পাঠক এসব টিপসের মানে এই নয় যে এগুলো প্র্যাকটিস করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উদ্বিগ্ন হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। এগুলো যদি কেউ প্রতিদিন চর্চা করে তাহলে অহেতুক উদ্বিগ্ন হওয়ার পরিমাণ কমে যাবে আশা করি ।

গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়াম মানুষের চাপ যাকে ইংরেজিতে আমরা বলি স্ট্রেস সেটা কমাতে সাহায্য করে। তবে চিন্তা যেমন বেশি করা ভালো নয় ব্যায়ামও তেমনি বেশি করা ভালো নয়। বেশি ব্যায়াম মনের চাপ কমালেও শরীরের ওপর আবার চাপ তৈরি করতে পারে। ব্যায়াম করতে হবে এবং তা প্রতিদিন করতে হবে। সকালে ব্যায়াম করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। কারণ তা মনকে সারাদিন সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

চা, কফি বা চকোলেট অনেকেই পছন্দ করে। কিন্তু এ জাতীয় দ্রব্য মানুষের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে। বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষ এসব জিনিস ছাড়া চলতেও পারে না। যেহেতু এগুলো মানুষ গ্রহণ করে তাই যতোটা কম গ্রহণ করা যায় ততোই উদ্বিগ্ন নিরসনে কার্যকর। চিনি হচ্ছে রিফাইন বা প্রক্রিয়াজাত কার্বহাইড্রেট। এ ধরনের খাবার শরীরে সরাসরি বেশি গেলে তা উদ্বিগ্নতা বাড়াতে পারে।

বেশি পরিমাণ ভিটামিন জাতীয় খাবার শরীরের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি চাপ কমায় এবং ভিটামিন বি নার্ভকে স্বাস্থ্যবান রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের তেলে ওমেগা থ্রি আছে। অনেকের মতে, এটা অ্যান্টি-ডিপ্রেসনার বা মানসিক উদ্বিগ্নতার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

অ্যাংজাইটি উদ্বিগ্নতার চেয়ে বড় কিছু নেই, যা আপনাকে ভীত এবং দুর্বল করে দেবে। উদ্বিগ্নতা তৈরি হলে সে সময় কোনো কাজের মধ্যে ডুবে যাওয়া আরো ভালো। বেশির ভাগ উদ্বিগ্নতা আসে নিজের কাজের মধ্যে যদি স্বচ্ছতা না আসে। কেউ যদি অপরাধ করে ফেলে তাহলে সে চিন্তিত হতে থাকে। তাহলে তার মনের মধ্যে অপরাধ বোধ এবং ভয় কাজ করতে থাকে। জর্জ ওয়াশিংটনের কথা মনে করুন। একবার তিনি একটি গাছ কেটে ফেলেছিলেন যেটি ছিল তার বাবার বাগানের প্রিয় গাছ। ওয়াশিংটন বাবার মারের ভয় না করে তাকে সত্য বলেছিলেন। এতে তার বাবা তাকে কোনো শাস্তি দেননি। কাজেই ঘটনা ঘটার পর ভয় না করে সত্যের মুখোমুখি হোন। আলোচনা করুন আপনার ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে যদি তা খুব গোপনীয় ব্যাপার হয় তবুও।

চিন্তা করা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। তবে দুশ্চিন্তা মানুষের শরীরের ও মনের ক্ষতির কারণ। দুশ্চিন্তা কমিয়ে আনতে থাকুন। আনন্দে থাকুন, ভালো থাকুন।

Thursday, September 12, 2013

Quotes About Friendship

1.“What is a friend? A single soul dwelling in two bodies.”
― Aristotle
2.“Friendship is born at that moment when one person says to another: "What! You too? I thought I was the only one.”
― C.S. Lewis
3.“Don't walk behind me; I may not lead. Don't walk in front of me; I may not follow. Just walk beside me and be my friend.”
― Albert Camus
4.“A friend is someone who knows all about you and still loves you.”
― Elbert Hubbard
5.“Good friends, good books, and a sleepy conscience: this is the ideal life.”
― Mark Twain
6.“There is nothing better than a friend, unless it is a friend with chocolate.”
― Linda Grayson
7.“A friend is one that knows you as you are, understands where you have been, accepts what you have become, and still, gently allows you to grow.”
― William Shakespeare
8.“Life is an awful, ugly place to not have a best friend.”
― Sarah Dessen,
9.“I would rather walk with a friend in the dark, than alone in the light.”
― Helen Keller
10.“Friendship is unnecessary, like philosophy, like art.... It has no survival value; rather it is one of those things which give value to survival.”
― C.S. Lewis
11.“Friendship is the hardest thing in the world to explain. It's not something you learn in school. But if you haven't learned the meaning of friendship, you really haven't learned anything.”
― Muhammad Ali

মজার মজার সব তথ্য

১. দিয়াশলাই এবং লাইটার আমরা সবাই চিনি। সবাই দেখেছি ব্যাবহার করেছি। দিয়াশলাই দেখতে অতি সাধারণ,
লাইটার এর তুলনায় অনেক আধুনিক মনে হয়। কি তাইনা? কিন্তু জানেন কি লাইটার দিয়াশলাইয়ের আগে আবিষ্কৃত হয়। আগে লাইটার আসছে এরপর দিয়াশলাই। :-O

২. Windmills বা বায়ুকল আপনারা কে কে দেখেছেন?

না দেখলেও নাম অবশ্যই শুনেছেন। আমাদের দেশের ফেনী জেলার সোনাগাজী তে আছে বায়ুকল। বায়ুকলে এর পাখাগুলো এন্টিক্লকে ঘুরে। অর্থাৎ ঘড়ির কাটার উল্টো দিকে ঘুরে। কিন্তু একমাত্র আয়ারল্যান্ডে এগুলো ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরে। এখন কেন ঘুরে তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব আপনাদের।

৩. পৃখিবীতে প্রথম যে এলার্মক্লকটি তৈরী করা হয় তা শুধুমাত্র সকাল ৪টায় এলার্ম দিতো। কি কেউ চান এই ঘড়িটি? ঘুম শেষ

৪. BMW গাড়ির কথা সবাই শুনেছি। যতটুকু জানি অনেক দামী গাড়ি। বিশ্বের সবচেয়ে দামী গাড়ি তৈরী করে এই কোম্পানী। কিন্তু জানেন কি এই কোম্পানিটি ছিল বিমানের ইঞ্জিন তৈরী করার জন্য। পরে এটি গাড়ি তৈরী করা শুরু করে এবং সাফল্যতো চোখের সামনেই।


৫. জানেন কি একটি সাধারণ কার(car) তৈরী করতে নাকি প্রায় ৩৯০৯০ গ্যালন পানি লাগে। :-O আমার নিজেরই বিশ্বাস হয়না এই কথা। কিন্তু নেটে এটার অনেক রেফারেন্স। একটি টায়ার তৈরী করতেই নাকি ৫১৮ গ্যালনের মত পানি লাগে। আপনাদের কি বিশ্বাস হয়? আমার হয় না।

খনার বচন

সকাল শোয় সকাল ওঠে
তার কড়ি না বৈদ্য লুটে

আলো হাওয়া বেঁধো না
রোগে ভোগে মরো না।

যে চাষা খায় পেট ভরে
গরুর পানে চায় না ফিরে
গরু না পায় ঘাস পানি
ফলন নাই তার হয়রানি

খনা ডেকে বলে যান
রোদে ধান ছায়ায় পান

গাছগাছালি ঘন সবে না
গাছ হবে তার ফল হবে না

হাত বিশ করি ফাঁক
আম কাঁঠাল পুঁতে রাখ

বিশ হাত করি ফাঁক,
আম কাঁঠাল পুঁতে রাখ।
গাছ গাছি ঘন রোবে না,
ফল তাতে ফলবে না।

যদি না হয় আগনে বৃষ্টি
তবে না হয় কাঁঠালের সৃষ্টি

যদি না হয় আগনে পানি,
কাঁঠাল হয় টানাটানি।

যত জ্বালে ব্যঞ্জন মিষ্ট
তত জ্বালে ভাত নষ্ট

যে না শোনে খনার বচন
সংসারে তার চির পচন৷

শোনরে বাপু চাষার পো
সুপারী বাগে মান্দার রো৷
মান্দার পাতা পচলে গোড়ায়
ফড়ফড়াইয়া ফল বাড়ায়৷

মঙ্গলে ঊষা বুধে পা
যথা ইচ্ছা তথা যা।

চাষী আর চষা মাটি
এ দু’য়ে হয় দেশ খাঁটি।

গাছে গাছে আগুন জ্বলে
বৃষ্টি হবে খনায় বলে।

জ্যৈষ্ঠে খরা, আষাঢ়ে ভরা
শস্যের ভার সহে না ধরা।

আষাঢ় মাসে বান্ধে আইল
তবে খায় বহু শাইল।

আষাঢ়ে পনের শ্রাবণে পুরো
ধান লাগাও যত পারো।

তিন শাওনে পান
এক আশ্বিনে ধান।

পটল বুনলে ফাগুনে
ফলন বাড়ে দ্বিগুণে।

ফাগুনে আগুন, চৈতে মাট
বাঁশ বলে শীঘ্র উঠি।

ভাদ্রের চারি, আশ্বিনের চারি
কলাই করি যত পারি।

লাঙ্গলে না খুঁড়লে মাটি,
মই না দিলে পরিপাটি
ফসল হয় না কান্নাকাটি।

সবলা গরু সুজন পুত
রাখতে পারে খেতের জুত।

গরু-জরু-ক্ষেত-পুতা
চাষীর বেটার মূল সুতা।

সবল গরু, গভীর চাষ
তাতে পুরে চাষার আশ।

শোন শোন চাষি ভাই
সার না দিলে ফসল নাই।

হালে নড়বড়, দুধে পানি
লক্ষ্মী বলে চাড়লাম আমি।

রোদে ধান, ছায়ায় পান।

আগে বাঁধবে আইল
তবে রুবে শাইল।

গাছ-গাছালি ঘন রোবে না
গাছ হবে তাতে ফল হবে না।

খরা ভুয়ে ঢালবি জল
সারাবছর পাবি ফল।

ষোল চাষে মূলা, তার অর্ধেক তুলা
তার অর্ধেক ধান, তার অর্ধেক পান,
খনার বচন, মিথ্যা হয় না কদাচন।

ডাঙ্গা নিড়ান বান্ধন আলি
তাতে দিও নানা শালি।

কাঁচা রোপা শুকায়
ভুঁইয়ে ধান ভুঁইয়ে লুটায়।

বার পুত, তের নাতি
তবে কর কুশার ক্ষেতি।

তাল বাড়ে ঝোঁপে
খেজুর বাড়ে কোপে।

গাজর, গন্ধি, সুরী
তিন বোধে দূরী।

খনা বলে শোনভাই
তুলায় তুলা অধিক পাই।

ঘন সরিষা পাতলা রাই
নেংগে নেংগে কার্পাস পাই।

বারো মাসে বারো ফল
না খেলে যায় রসাতল।

ফল খেয়ে জল খায়
জম বলে আয় আয়।

কলা-রুয়ে কেটো না পাত,
তাতে কাপড় তাতেই ভাত।

চাষে মুলা তার
অর্ধেক তুলা তার
অর্ধেক ধান
বিনা চাষে পান

বিপদে পড় নহে ভয়
অভিজ্ঞতায় হবে জয়

উত্তর দুয়ারি ঘরের রাজা
দক্ষিণ দুয়ারি তাহার প্রজা।
পূর্ব দুয়ারির খাজনা নাই
পশ্চিম দুয়ারির মুখে ছাই।।

কপালে নাই ঘি,
ঠকঠকালে হবে কি!

নিজের বেলায় আটিঁগাটি,
পরের বেলায় চিমটি কাটি।

পুকুরে তে পানি নাই, পাতা কেনো ভাসে
যার কথা মনে করি সেই কেনো হাসে ?

ভাত দেবার মুরোদ নাই,
কিল দেবার গোসাঁই।

নদীর জল ঘোলাও ভালো,
জাতের মেয়ে কালোও ভালো

খাঁদা নাকে আবার নথ!

থাক দুখ পিতে,(পিত্তে)
ঢালমু দুখ মাঘ মাসের শীতে।

কি কর শ্বশুর মিছে খেটে
ফাল্গুনে এঁটে পোত কেটে
বেড়ে যাবে ঝাড়কি ঝাড়
কলা বইতে ভাংগে ঘাড়।

ভাদরে করে কলা রোপন
স্ববংশে মরিল রাবণ।

গো নারিকেল নেড়ে রো
আমা টুকরা কাঁঠাল ভো।

সুপারীতে গোবর, বাশে মাটি
অফলা নারিকেল শিকর কাটি

খনা বলে শুনে যাও
নারিকেল মুলে চিটা দাও
গাছ হয় তাজা মোটা
তাড়াতাড়ি ধরে গোটা।

ডাক ছেড়ে বলে রাবণ
কলা রোবে আষাঢ় শ্রাবণ।

পূর্ব আষাঢ়ে দক্ষিণা বয়
সেই বৎসর বন্যা হয়।

মংগলে উষা বুধে পা
যথা ইচ্ছা তথা যা।

পুত্র ভাগ্যে যশ
কন্যা ভাগ্যে লক্ষী

উঠান ভরা লাউ শসা
ঘরে তার লক্ষীর দশা

বামুন বাদল বান
দক্ষিণা পেলেই যান।

বেঙ ডাকে ঘন ঘন
শীঘ্র হবে বৃষ্টি জান।

আউশ ধানের চাষ
লাগে তিন মাস।

যদি বর্ষে গাল্গুনে
চিনা কাউন দ্বিগুনে।

যদি হয় চৈতে বৃষ্টি
তবে হবে ধানের সৃষ্টি।

চালায় চালায় কুমুড় পাতা
লক্ষ্মী বলেন আছি তথা।

আখ আদা রুই
এই তিন চৈতে রুই।

চৈত্রে দিয়া মাটি
বৈশাখে কর পরিপাটি।

দাতার নারিকেল, বখিলের বাঁশ
কমে না বাড়ে বারো মাস।

সোমে ও বুধে না দিও হাত
ধার করিয়া খাইও ভাত।

জৈষ্ঠতে তারা ফুটে
তবে জানবে বর্ষা বটে।

বাঁশের ধারে হলুদ দিলে
খনা বলে দ্বিগুণ বাড়ে।

গাই পালে মেয়ে
দুধ পড়ে বেয়ে।

শুনরে বাপু চাষার বেটা
মাটির মধ্যে বেলে যেটা
তাতে যদি বুনিস পটল
তাতে তোর আশার সফল।

মাঘ মাসে বর্ষে দেবা
রাজ্য ছেড়ে প্রজার সেবা।

চৈতের কুয়া আমের ক্ষয়
তাল তেঁতুলের কিবা হয়।

আমে ধান
তেঁতুলে বান।

হইবো পুতে ডাকবো বাপ
তয় পুরবো মনর থাপ।

পারেনা ল ফালাইতে
উইঠা থাকে বিয়ান রাইতে।

যদি বর্ষে মাঘের শেষ
ধন্যি রাজা পুণ্যি দেশ

সূর্যের চেয়ে বালি গরম!!
নদীর চেয়ে প্যাক ঠান্ডা!!

সমানে সমানে দোস্তি
সমানে সমানে কুস্তি।

হোলা গোশশা অইলে বাশশা,
মাইয়া গোশশা অইলে বেইশশা

মেয়ে নষ্ট ঘাটে,
ছেলে নষ্ট হাটে।

আল্লায় দিয়া ধন দেখে মন,
কাইড়া নিতে কতক্ষণ।

যদি থাকে বন্ধুরে মন
গাং সাঁতরাইতে কতক্ষণ।

কাল ধানের ধলা পিঠা,
মা’র চেয়ে মাসি মিঠা।

পরের বাড়ির পিঠা
খাইতে বড় ই মিঠা।

ঘরের কোনে মরিচ গাছ
লাল মরিচ ধরে,
তোমার কথা মনে হলে
চোখের পানি পড়ে!

সোলের পোনা বোয়ালের পোনা
যার যারটা তার তার কাছে সোনা।

ছায়া ভালো ছাতার তল,
বল ভালো নিজের বল।
(বিয়াই’র পুত নিয়া সাত পুত গুণতে নাই।)

যা করিবে বান্দা তা-ই পাইবে।
সুই চুরি করিলে কুড়াল হারাইবে।

খালি পেটে পানি খায়
যার যার বুঝে খায়।

তেলা মাথায় ঢালো তেল,
শুকনো মাথায় ভাঙ্গ বেল।

চৈত্রে চালিতা,
বৈশাখে নালিতা,
আষাড়ে………
ভাদ্রে তালের পিঠা।
আর্শ্বিনে ওল,
কার্তিকে কৈয়ের ঝুল

মিললে মেলা।
না মিললে একলা একলা ভালা!

সাত পুরুষে কুমাড়ের ঝি,
সরা দেইখা কয়, এইটা কি?

না পাইয়া পাইছে ধন;
বাপে পুতে কীর্তন।

কাচায় না নোয়ালে বাশ,
পাকলে করে ঠাস ঠাস!

যুগরে খাইছে ভূতে
বাপরে মারে পুতে।

দশে মিলে করি কাজ
হারি জিতি নাহি লাজ।

যাও পাখি বলো তারে
সে যেন ভুলেনা মোরে।

ফুল তুলিয়া রুমাল দিলাম যতন করি রাখিও।
আমার কথা মনে ফইল্লে রুমাল খুলি দেখিও।

একে তে নাচুনী বুড়ি,
তার উপর ঢোলের বারি

চোরের মার বড় গলা
লাফ দিয়ে খায় গাছের কলা

“ভাই বড়ো ধন, রক্তের বাঁধন
যদি ও পৃথক হয়, নারীর কারন।”

জ্যৈষ্ঠে শুকো আষাঢ়ে ধারা।
শস্যের ভার না সহে ধরা।”

যদি হয় সুজন
এক পিড়িতে নয় জন।
যদি হয় কুজন
নয় পিড়িতে নয় জন
(যদি হয় সুজন, তেতুল পাতায় ন’জন।)

“হাতিরও পিছলে পাও।
সুজনেরও ডুবে নাও।”

গাঙ দেখলে মুত আসে
নাঙ দেখলে হাস আসে (নাঙ মানে – স্বামী)

ক্ষেত আর পুত।
যত্ন বিনে যমদূত।।

গরু ছাগলের মুখে বিষ।
চারা না খায় রাখিস দিশ ।।

আকাশে কোদালীর বাউ।
ওগো শ্বশুড় মাঠে যাও।।
মাঠে গিয়া বাঁধো আলি।
বৃষ্টি হবে আজি কালি।।

যদি ঝরে কাত্তি।
সোনা রাত্তি রাত্তি।।

আষাঢ়ের পানি।
তলে দিয়া গেলে সার।
উপরে দিয়া গেলে ক্ষার।।

গাঁ গড়ানে ঘন পা।
যেমন মা তেমন ছা।।
থেকে বলদ না বয় হাল,
তার দুঃখ সর্ব্বকাল।

যে চাষা খায় পেট ভরে।
গরুর পানে চায় না ফিরে।
গরু না পায় ঘাস পানি।
ফলন নাই তার হয়রানি।।

গরুর পিঠে তুললে হাত।
গিরস্থে কভু পায় না ভাত।।
গাই দিয়া বায় হাল
দু:খ তার চিরকাল।

দিন থাকতে বাঁধে আল।
তবে খায় তিন শাল।।
বারো পুত তেরো নাতি।
তবে করো বোরো খেতি।।

মেঘ করে রাত্রে হয় জল।
তবে মাঠে যাওয়াই বিফল।।

যদি থাকে টাকা করবার গোঁ।
চৈত্র মাসে ভুট্টা দিয়ে রো।।

হলে ফুল কাট শনা।
পাট পাকিলে লাভ দ্বিগুণা।।

পাঁচ রবি মাসে পায়,
ঝরা কিংবা খরায় যায়।

খনা বলে শুন কৃষকগণ
হাল লয়ে মাঠে বেরুবে যখন
শুভ দেখে করবে যাত্রা
না শুনে কানে অশুভ বার্তা।
ক্ষেতে গিয়ে কর দিক নিরূপণ,
পূর্ব দিক হতে হাল চালন
নাহিক সংশয় হবে ফলন।

ভরা হতে শুন্য ভাল যদি ভরতে যায়,
আগে হতে পিছে ভাল যদি ডাকে মায়।
মরা হতে তাজা ভাল যদি মরতে যায়,
বাঁয়ে হতে ডাইনে ভাল যদি ফিরে চায়।
বাঁধা হতে খোলা ভাল মাথা তুলে চায়,
হাসা হতে কাঁদা ভাল যদি কাঁদে বাঁয়।

কি করো শ্বশুর লেখা জোখা,
মেঘেই বুঝবে জলের রেখা।
কোদাল কুড়ুলে মেঘের গাঁ,
মধ্যে মধ্যে দিচ্ছে বা।
কৃষককে বলোগে বাঁধতে আল,
আজ না হয় হবে কাল।

বার বছরে ফলে তাল,
যদি না লাগে গরু নাল।

এক পুরুষে রোপে তাল,
অন্য পুরুষি করে পাল।
তারপর যে সে খাবে,
তিন পুরুষে ফল পাবে।

নিত্যি নিত্যি ফল খাও,
বদ্যি বাড়ি নাহি যাও।

চৈত্রেতে থর থর
বৈশাখেতে ঝড় পাথর
জ্যৈষ্ঠতে তারা ফুটে
তবে জানবে বর্ষা বটে।

সাত হাতে, তিন বিঘাতে
কলা লাগাবে মায়ে পুতে।
কলা লাগিয়ে না কাটবে পাত,
তাতেই কাপড় তাতেই ভাত।

দিনের মেঘে ধান,
রাতের মেঘে পান।

বেল খেয়ে খায় পানি,
জির বলে মইলাম আমি।

আম খেয়ে খায় পানি,
পেঁদি বলে আমি ন জানি।

শুধু পেটে কুল,
ভর পেটে মূল।

চৈতে গিমা তিতা,
বৈশাখে নালিতা মিঠা,
জ্যৈষ্ঠে অমৃতফল আষাঢ়ে খৈ,
শায়নে দৈ।
ভাদরে তালের পিঠা,
আশ্বিনে শশা মিঠা,
কার্তিকে খৈলসার ঝোল,
অগ্রাণে ওল।
পৌষে কাঞ্ছি, মাঘে তেল,
ফাল্গুনে পাকা বেল।

তিন নাড়ায় সুপারী সোনা,
তিন নাড়ায় নারকেল টেনা,
তিন নাড়ায় শ্রীফল বেল,
তিন নাড়ায় গেরস্থ গেল।

আম লাগাই জাম লাগাই
কাঁঠাল সারি সারি-
বারো মাসের বারো ফল
নাচে জড়াজড়ি।

তাল, তেঁতুল, কুল
তিনে বাস্তু নির্মূল।

ঘোল, কুল, কলা
তিনে নাশে গলা।

আম নিম জামের ডালে
দাঁত মাজও কুতুহলে।

সকল গাছ কাটিকুটি
কাঁঠাল গাছে দেই মাটি।

শাল সত্তর, আসন আশি
জাম বলে পাছেই আছি।
তাল বলে যদি পাই কাত
বার বছরে ফলে একরাত।

পূর্ণিমা আমাবস্যায় যে ধরে হাল,
তার দুঃখ হয় চিরকাল।
তার বলদের হয় বাত
তার ঘরে না থাকে ভাত।
খনা বলে আমার বাণী,
যে চষে তার হবে জানি।

ভাদরের চারি আশ্বিনের চারি,
কলাই রোব যত পারি।

ফাল্গুন না রুলে ওল,
শেষে হয় গণ্ডগোল।

মাঘে মুখী, ফাল্গুনে চুখি,
চৈতে লতা, বৈশাখে পাতা।

সরিষা বনে কলাই মুগ,
বুনে বেড়াও চাপড়ে বুক।

গোবর দিয়া কর যতন,
ফলবে দ্বিগুণ ফসল রতন।

খনা বলে চাষার পো
শরতের শেষে সরিষা রো।

সেচ দিয়ে করে চাষ,
তার সবজি বার মাস।

তিনশ ষাট ঝাড় কলা রুয়ে
থাকগা চাষি মাচায় শুয়ে,
তিন হাত অন্তর এক হাত খাই
কলা পুতগে চাষা ভাই।

বৎসরের প্রথম ঈশানে বয়,
সে বৎসর বর্ষা হবে খনা কয়।

শুনরে বেটা চাষার পো,
বৈশাখ জ্যৈষ্ঠে হলুদ রো।
আষাঢ় শাওনে নিড়িয়ে মাটি,
ভাদরে নিড়িয়ে করবে খাঁটি।
হলুদ রোলে অপর কালে,
সব চেষ্টা যায় বিফলে।

পান লাগালে শ্রাবণে,
খেয়ে না কুলায় রাবণে।

ফাল্গুনে আগুন চৈতে মাটি,
বাঁশ বলে শীঘ্র উঠি।

ভাদ্র আশ্বিনে বহে ঈশান,
কাঁধে কোদালে নাচে কৃষাণ।

বৈশাখের প্রথম জলে,
আশুধান দ্বিগুণ ফলে।

বাড়ীর কাছে ধান পা,
যার মার আগে ছা।
চিনিস বা না চিনিস,
ঘুঁজি দেখে কিনিস।

শীষ দেখে বিশ দিন,
কাটতে কাটতে দশদিন।
ওরে বেটা চাষার পো,
ক্ষেতে ক্ষেতে শালী রো।

খনা ডাকিয়া কন,
রোদে ধান ছায়ায় পান।

তপ্ত অম্ল ঠাণ্ডা দুধ
যে খায় সে নির্বোধ।

ডাক দিয়ে বলে মিহিরের স্ত্রী, শোন পতির পিতা,
ভাদ্র মাসে জলের মধ্যে নড়েন বসুমাতা।
রাজ্য নাশে, গো নাশে, হয় অগাধ বান,
হাতে কাটা গৃহী ফেরে কিনতে না পান ধান।

ফাল্গুনে আট, চৈতের আট,
সেই তিল দায়ে কাট।

Sunday, September 8, 2013

সৌরবিদ্যুত, শিক্ষা স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র- দুর্গম চর এখন আদর্শ গ্রাম

প্রতিকূলতাকে জয় করেছে যমুনা পারের মানুষ
যমুনার তীর আর যমুনার ভেতরের চরগ্রাম নিয়ে কতই কথা! যমুনা একমাত্র নদী যাকে বশে আনতে পানি বিজ্ঞানীদের ঘাম ঝরে যায়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, সে-ই কবে মুঘল সম্রাট শাহজাহান প্রেমের সমাধি গড়তে যত অর্থ ব্যয় করেছেন তার সিংহভাগই ব্যয় হয়েছে তাজমহলের প্রতিচ্ছবি যমুনায় ফেলতে এই নদীর গতি নিয়ন্ত্রণে।

১৫ শতকের পর বিংশ শতকের শেষ ভাগে এ দেশে হার্ডপয়েন্ট বানাতে এবং সেতু গড়তে যমুনা শাসনের জন্যও বহু অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয়। সেই যমুনার চরে এখন পাকা সড়ক। পল্লী বিদ্যুত না গেলে কী হবে এলাকা ও চরের মানুষ সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌরবিদ্যুত সুবিধা নিয়েছে। বন্যা ও ভাঙ্গন ঠেকানোর জন্য নির্মিত বাঁধকে শক্তিশালী করে পাকা সড়ক হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে। নির্মিত হয়েছে রিভেটমেন্ট। এই সড়কে টেম্পো, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মিনি ট্রাক, মিনিবাস চলাচল করে। কৃষক নৌ ও সড়ক পথ ব্যবহার করে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পেয়ে ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়েছে। যমুনার সঙ্গী হয়ে আছে বাঙালী নদী। তবে সারিয়াকান্দি ও সোনাতলায় আগের দেখা যমুনা পারের সঙ্গে বর্তমানে অনেক পরিবর্তন।

লোকজন বংশপরম্পরায় শুনে এসেছে- একটা সময় ছিল যখন কেউ সকালে সারিয়াকান্দির উদ্দেশে রওনা দিলে তেজোদীপ্ত কণ্ঠে গন্তব্যের নাম বলত। ফেরার সময় কোথায় গিয়েছিল জিজ্ঞেস করলে ক্লান্তির ঘূর্ণিপাকে ভুলেই যেত। যেতেই লাগত ২-৩ দিন। দুর্গম বন্ধুর এই পথ ধরে ফেরা। যমুনা এখন আর প্রমত্তা নেই। জলবায়ুর পরিবর্তনে যমুনাকে চেনা এখন কঠিন। অনেক স্থানে যতদূর চোখ যায় শুধু ধু-ধু বালিচর।

তারপরও অস্তিত্বের লড়াইয়ে টিকে থাকতে যমুনার পারের মানুষ গ্রাম ও চরগ্রামগুলোকে সাজিয়ে নিচ্ছে নিজের মতো করে।
চার বছর আগেও এই এলাকার লোক বুঝতে পারেনি তাদের পথঘাট, কৃষি কার্যক্রমের সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশ কত দ্রুত পালাবদল ঘটাতে পারে। খেয়াঘাটের মাঝি থেকে গাঁয়ের কৃষক, কিষানী, গাঁয়ের বধূূ সবার হাতে মোবাইল ফোন তো আছেই অনেক তরুণ-তরুণী ল্যাপটপ, মডেম নিয়ে কাজ করে দূরের চরেও। পৌর এলাকা, ইউনিয়ন পরিষদ, গ্রাম ছাড়াও চরের পাকা সড়ক ধরে মোটরসাইকেলে চেপে চলাচল করে এলাকার লোক।
বগুড়া জেলা প্রতিষ্ঠার পর সারিয়াকান্দি ছিল এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় থানা। পূর্বদিকের বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৩৯টি ও উত্তরদিকের বৃহত্তর রংপুরের ১শ' ২টি গ্রাম ছিল সারিয়াকান্দির মধ্যে। এই সারিয়াকান্দি ভেঙ্গে হয়েছে তিনটি থানা। সর্বশেষ ১৯৮১ সালে সারিয়াকান্দি থানা থেকে ২টি ইউনিয়ন সোনাতলা থানায় অন্তর্ভুক্ত হয়। বর্তমানে সারিয়াকান্দির ১৩ ইউনিয়নের মধ্যে কাজলা, কর্নিবাড়ি, চালুয়াবাড়ি ও বোহাইল এই ৪ ইউনিয়ন যমুনার বক্ষে সম্পূর্র্ণই চর। সারিয়াকান্দি সদর, হাটশেরপুর ও চন্দনবাইশা আংশিক চর।

প্রকৃতির প্রতিকূলতার মধ্যে যমুনা পারের হাজারো মানুষকে আলোর পানে পথ চলার হাত সম্প্রসারিত করেছেন ওই এলাকার সংসদ সদস্য মোঃ আব্দুল মান্নান। জনগণ তথ্য অধিকার নিয়ে তাঁকে জবাবদিহিতার আওতায় এনেছেন। সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা এলাকার মানুষ এখন প্রতিটি কাজে সংসদ সদস্যের কাছে জবাবদিহিতা চাইতে পারেন। সেই দুয়ার তিনি খুলে দিয়েছেন। অনেক সময় তিনি নিজেই জাবাদিহিতা করেন এবং বলেন জবাবদিহিতাই রাজনীতির প্রধান শর্ত। তাঁর সহযোগিতায় এলাকার উন্নয়ন কর্মকা-ে সদর থেকে নদীপথে ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের কর্নিবাড়ি, চালুয়াবাড়ির মানিকদাইর, কাজলার পাকেরদহ চর গ্রামগুলোতে পাকা সড়ক হয়েছে।

সারিয়াকান্দি সদরের উত্তর-পূর্ব দিক থেকে দক্ষিণের দিকে এবং পূর্বদিকের এলাকাগুলো সংযুক্ত হয়েছে চরের সঙ্গে। নদীপথে এসব চরে যেতে শ্যালোইঞ্জিনচালিত নৌকায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে। তারপর চরে গিয়ে পাকা সড়ক। সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে দূরের বোহাইল ইউনিয়নের ধারাবর্ষার মানুষ। পাকা সড়ক সংযোগ স্থাপন করেছে দেড়-দুই কিলোমিটার দূরের পাশের জামালপুর জেলার সঙ্গে। এলাকার কৃষক বড় হাটগুলো কাছে পায়। এলাকার লোকজন বলেন, তাঁরা সরাসরি এমপির কাছে গিয়ে উন্নয়নের দাবি জানান। এভাবে দুর্গম এলাকাতেও আদর্শ গ্রামের অবকাঠামো, বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, হাটের শেড হয়েছে।

বেকার যুবক ও গ্রামের নারী স্বাবলম্বী হতে হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু পালনের পাশাপাশি কুটির শিল্প স্থাপনে এগিয়ে এসেছে। সহযোগিতা দিচ্ছেন স্থানীয় এমপি। সারিয়াকান্দির চরগ্রামগুলো মরিচ আবাদের অন্যতম এলাকা। কনজুমার গুডসের উৎপাদকরা মরিচ কিনতে এই এলাকাতেই পারচেজ সেন্টার খুলেছে।
বিদ্যুত সঙ্কটে যখন শহুরে জীবন দুর্বিষহ তখন সৌরবিদ্যুত যমুনার দুর্গম চরগ্রামের মানুষের জীবন আলোকিত করছে।

চরের মানুষ টিভি দেখছে। ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করছে, এমনকি রাতের বেলা আঙ্গিনায় আলো জ্বালিয়ে ফসল মাড়াইও হচ্ছে। বিদ্যুত চরবাসীর জীবনমান বদলে দিয়েছে। যমুনার বুকে জেগে ওঠা চরগ্রামগুলোতে মানুষ প্রমাণ করেছে অস্তিত্বের জন্য লড়াই করে কিভাবে উন্নয়নের ধারা ধরে রাখা যায়। ভরা চাঁদের প্রতিচ্ছবি যমুনায় পড়লে তার নাচনও দেখে যমুনা পারের মানুষ।

নববর্ষে দেশের প্রথম সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সার্চ ইঞ্জিন 'পিপীলিকা'। বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই সার্চ করা যাবে এই সার্চ ইঞ্জিনে।

সার্চ ইঞ্জিনটি তৈরি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের কয়েকজন রিসার্চার ও ডেভেলপার।

'পিপীলিকা'র প্রকল্প পরিচালক হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। প্রধান গবেষক ও টিম লিডার হিসেবে কাজ করেছেন সিএসই বিভাগের শিক্ষক মো. রুহুল আমীন সজীব।তিনি সমকালকে জানান, এ প্রকল্পের পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, অর্থায়ন ও মার্কেটিং করেছে জিপিআইটি লিমিটেড এবং প্রকল্পটি গবেষণা ও বাস্তবায়ন করেছে শাবি। আপাতত 'পিপীলিকা' বেটা ভার্সন ছাড়া হয়েছে।

আগামী ১৩ এপ্রিল ঢাকার রূপসী বাংলা হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন হবে। তবে পহেলা বৈশাখ থেকে সবাই এটি পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবেন।শাবির ১১ জন রিসার্চার অ্যান্ড ডেভেলপার মিলে এ সার্চ ইঞ্জিনটি তৈরি করেছেন। তারা হলেন মিশু, তালহা, তালহা ইবনে ইমাম, তৌহিদ, সাজ্জাদ, আসিফ, বাকের, অপু, ফরহাদ, আশিষ এবং মাকসুদ। এছাড়াও ৩০ শিক্ষার্থীর থিসিসের ওপর ভিত্তি করে এর প্রজেক্ট তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।নামকরণ ও ওয়েব ইন্টারফেসের ব্যাপারে টিম লিডার রুহুল আমীন সজীব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চিশতি বাংলা সার্চ ইঞ্জিন 'পিপীলিকা' নামটি দিয়েছেন এবং বোরহান ও চিশতির থিসিস পেপার থেকে এর ওয়েব ইন্টারফেসটি সংগ্রহ করা হয়েছে।

ব্রাজিলে পুরুষ হওয়ার অদ্ভূত পরীক্ষা

একজন বালককে পুরুষে পরিণত হতে হলে ‘বুলেট পিপিলিকা’ নামক অসংখ্য মারাত্মক বিষাক্ত পিপিলিকার কামড় সহ্য করতে হয়। ব্রাজিলে একটি উপজাতীয় গোষ্ঠীর মাঝে এ রীতি প্রচলিত।
ব্রাজিলের আমাজন রেইন ফরেষ্টের একটি উপজাতি হচ্ছে সাতারি মাউয়ি সম্প্রদায়। তারা মনে করে একজন বালক পুরুষে পরিণত হতে হলে তার কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। তাই তাকে এক দঙ্গল বিষাক্ত ‘বুলেট পিপিলিকার কামড় মুখ বুজে সহ্য করার পরীক্ষা দিতে হবে।
লক্ষণীয় যে, ‘বুলেট পিপিলিকা’ সাধারণ পিপিলিকার মতো নয়। এর কামড়ের তীব্রতা স্মিডেথ্ স্টিং পেইন ইনডেক্স অনুযায়ী, অন্যান্য পিপিলিকা ও পতঙ্গের চেয়ে বহুগুণ তীব্র ও কষ্টদায়ক। অনেকের মতে, ‘বুলেট অ্যান্ট’ বা বুলেট পিপঁড়ার কামড় একটি বুলেট বিদ্ধ হওয়ার মতোই বেদনায়দায়ক। তাই এই প্রজাতির পিপড়াকে ‘বুলেট পিপিলিকা’ বলা হয়।
প্রথা অনুসারে, গাছের পাতার তৈরী হাত মোজার ভেতর অগুনিত বুলেট পিপিলিকা ঢুকিয়ে সেটা দু’হাতে পরিয়ে দেয়া পুরুষে পরিণত হতে যাওয়া বালকটির হাতে। এ অবস্থায় পিপঁড়ার বিষাক্ত কামড় তাকে সহ্য করতে হয়। তার কান্না নিষেধ। এভাবে ১০ মিনিট রাখা হয়। এ ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জনকারী জনৈক ব্যক্তি জানান, ‘এটা ছিলো আগুনের ভেতর হাত ঢুকানোর মতোই।’
তবে আসর কষ্ট শুরু হয় মোজা থেকে হাত বের করে আনার পর। পিপঁড়ার কামড়ে দেহে বিষ ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত হাত দু’টি হয়ে যায় অবশ। তা সত্বেও একবার নয়, বার বার এটা করতে হয়। করতে হয় যতক্ষণ না সে এক ফোঁটাও চোখের পানি না ফেলে বিষাক্ত পিপিলিকার কামড় সহ্য করতে সক্ষম হয়।
অনেক কেষত্রে এটা ২০ বার পর্যন্ত হতে পারে।